• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Delhi

খেলার দুনিয়া

রাহুলের জবাবে এক জোড়া তরুণ তুর্কীর ব্যাটিং আস্ফালন দেখল দিল্লি

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম দেখল এক অসাধারণ ক্রিকেট ম্যাচের সাক্ষী থাকলো। দিনটা শুরু হোল রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দিয়ে। শেষ করল গিল-সুদর্শনের এক ক্লাসিক যুগলবন্দী দিয়ে। এ বারের আইপিএলে এক অন্য রাহুল কে দেখা যাচ্ছে। অনেক বেশী দায়ীত্ব নিয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। বদলে ফেলেছেন তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। কাজে এল না রাহুলের অসাধারণ শতরান। কিন্তু মাঠে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করতে করতে রাহুলের সেই ক্লাসিক ব্যাটিং থেকে শিক্ষা নিয়ে মাত করল গুজরাত টাইটান্স। ভারতের ভবিষ্যতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও সাই সুদর্শনের ওপেনিং জুটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কী ভাবে রান তাড়া করতে হয়। তাঁদের ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারিয়ে এবারের আইপিএলের প্রথম দল হিসাবে প্লে-অফে উঠল গুজরাত।দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইপিএল ২০২৫-এর ৬০তম ম্যাচে গুজরাট টাইটানস (GT) দিল্লি ক্যাপিটালসকে (DC) ১০ উইকেটে পরাজিত করে প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করেছে। দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান সংগ্রহ করে। উল্লেখযোগ্য, অধিনায়ক কেএল রাহুল ৬৩ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন।গুজরাট টাইটানস জবাবে, ওপেনার সাই সুদর্শন ৬১ বলে অপরাজিত ১০৮ রান এবং শুভমান গিল ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করেন। তারা ১৯ ওভারে ২০৫ রান করে কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়। গুজরাট টাইটানসের এই ১০ উইকেটের জয় আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে উইকেট না হারিয়ে জয়ের রেকর্ড। মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতিতে দিল্লির বোলিং আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে, যা গুজরাটের ব্যাটসম্যানদের সহজে রান করতে সাহায্য করে।এই জয়ের মাধ্যমে গুজরাট টাইটানস প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে, যেখানে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং পাঞ্জাব কিংসও ইতিমধ্যে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই পরাজয়ের ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীন। অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল দলের ফিল্ডিং এবং বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মে ১৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

প্রয়োজনীয় সময়ে জলে উঠলেন রাহুল, দিল্লি ক্যাপিটালসের সম্মান যোগ্য রান

সাময়ীক ক্ষরা কাটিয়ে রানে ফিরলেন এই মুহুর্তে ভারতীয় দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবেল লোকেশ রাহুল। আইপিএলের শেষ কয়েকটি ম্যাচে বড় রান করতে না পারায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ডু অর ডাই ম্যাচে রাহুলের ব্যাটের ওপর ভর করেই সম্মানযোগ্য রান দিল্লির। ৬০ বলে শতরান করলেন তিনি। চলতি মরসুমে এটিই রাহুলের প্রথম শতরান।রবিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানসের মধ্যকার ম্যাচে কেএল রাহুল অসাধারণ পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেছেন। তিনি ৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান করেন, যার মধ্যে ছিল ১৪ টি চার ও ৪টি ছয়। আজকের শতরান ধরে রাহুল আইপিএলে তার পঞ্চম শতক পূর্ণ করেন এবং তিনটি ভিন্ন দলের হয়ে শতরান করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেনপাঞ্জাব কিংস, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ।এছাড়াও, তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৮,০০০ রান পূর্ণ করে সবচেয়ে দ্রুততম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে বিরাট কোহলির রেকর্ড ভেঙেছেন। কোহলি এই মাইলফলক অর্জন করেছিলেন ২৪৩ ইনিংসে, সেখানে রাহুল তা করেছেন মাত্র ২২৪ ইনিংসে । এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রাহুল আইপিএলে শতকের সংখ্যায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছেন, সেই তালিকায় তার উপরে রয়েছেন বিরাট কোহলি (৮), জস বাটলার (৭) এবং ক্রিস গেইল (৬)।কে এক রাহুলের আজকের এই ইনিংসটি দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি একটি মাস্ট-উইন ম্যাচ ছিল এবং রাহুলের এই পারফরম্যান্স দলকে ১৯৯/৩ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে । আবারও কেএল রাহুল প্রমাণ করেছেন যে তিনি আইপিএলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

মে ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়ে সাফ আপ, পরাজয় কেজরিওয়াল, সিসোদিয়ার

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছিল আম আদমি পার্টি বা আপ। ১০ বছর পরে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ইস্যু খাড়া করেছিল বিজেপি। এবার কুপোকাত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্ট। বিজেপি কাছে গোহারা হেরে গিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হচ্ছে আপকে। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় মাত্র ২২টি আসনে জয়লাভ করেছে আপ। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে ৪৮টি আসন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর দিল্লির মসনদে বিজেপি। এদিন গণনার শুরু করে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কখনও সেই ট্রেন্ড ঘুরে যায়নি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো হেভিওয়েট আপ নেতা পরাজিত হয়েছেন। হেরে গিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া । বিভিন্ন আসনে নক্ষত্র পতন হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশী এবারের নির্বাচনী ফলাফল অনুসারে ৯০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বিজেপি নেতা প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেছেন, কেজরিওয়াল স্রেফ মিথ্যার ওপর ভর করে চলেছেন। অপর দিকে মানুষের জন্য কাজ করে গিয়েছে বিজেপি। এই দুইয়ের তুলনা আজ ভোটের ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে দুহাত ভরে আর্শীবাদ করেছে। দিল্লির মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তার কাজের জন্য বড় শাস্তি দিতে চলেছেন। এদিকে বিজেপির এই বিরাট সাফল্যে দিল্লি জুড়ে খুশির হাওয়া পদ্মশিবিরে। আজ সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বঙ্গ বিজেপিও দিল্লির জয়ে পুলকিত। তাঁরা আগামী ২০২৬ জয়ের আশা দেখতে শুরু করেছে। সমাজকর্মী আন্না হাজারের সঙ্গে এক মঞ্চে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আন্না হাজারে বলেছেন, আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় প্রার্থীর চরিত্র ভালো হওয়া উচিত, তাঁর সম্পর্কে সাধারণের মনে ভাল ধারণা থাকা উচিত এবং ভাবমূর্তির উপর কোনও দাগ থাকা উচিত নয়। কিন্তু, তারা (আপ) এটা বুঝতে পারেনি। মদ এবং টাকার নেশায় জড়িয়ে পড়েছে। এতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে এবং সেই কারণেই আপের নির্বাচনে এই ভরাডুবি হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
কলকাতা

মুক্তিতে স্বস্তি! কেজরিওয়ালের নামে পুজো কালীঘাট মন্দিরে

আজ আম আদমী পার্টি, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে আম আদমী পার্টির সুপ্রিমো শ্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে পুজো দেওয়া হল কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগামী দিন গুলির রাজনৈতিক সাফল্য কামনা করে এবং দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে আজ এই প্রার্থনা করা হয় দলের তরফে । দলের তরফ থেকে প্রধান মুখপাত্র, অর্ণব মৈত্র জানিয়েছেন, দেশে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লড়াই সফল হয় সেই জন্য আজকের এই পুজো আয়োজন করা হয়েছিল। তার সাথে সমগ্র দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করি আমরা।। মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা সকলে ভালো থাকুক এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের স্বৈরাতন্ত্র কে পরাজিত করে দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর করুন।

মে ১১, ২০২৪
রাজ্য

অযোগ্য নিয়োগ আদালতে মানলো এসএসসি, জানাল যোগ্য শিক্ষকদের সংখ্যাও

শেষমেশ অযোগ্যরা যে শিক্ষকতায় নিয়োগ করা হয়েছিল তা মেনে নিল এসএসসি। পাশাপাশি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের সংখ্যাও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।চাকরিহারা যোগ্যদের পাশে দাঁড়াল SSC ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া ১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ ও তার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে SSC। অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার নিয়োগ অবৈধ বলেই কার্যত এদিন মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিকে, SSC-র এই বক্তব্য শুনে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্টও। SSC দায়িত্ববানের মতো কাজ করেনি বলে উষ্মা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।নিয়োগ ঘিরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এদিন রাজ্যের আইনজীবীও সওয়াল করেন শীর্ষ আদালতে। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণ নেই বলে তিনি দাবি করেছেন। তাই রাজ্য মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়ে গেলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে এদিন সওয়ালে দাবি করেছেন রাজ্যের আইনজীবী।

মে ০৭, ২০২৪
রাজ্য

মুর্শিদাবাদে প্রচারে রাজনাথ সিং, তুলোধোনা তৃণমূল নেত্রীকে, দার্জিলিংয়ের সভায় ফোন-বার্তা শাহর

নরেন্দ্র মোদী- অমিতনশাহের পর এবার রাজনাথ সিং। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করেছেন রাজনাথ।মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর আড়ালে লুঠ চলছে। চৈতণ্যদেব, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, সুভাষচন্দ্রের বাংলায় মমতার আমলে কী হল? বাংলায় এখন আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুরো বাংলাজুড়ে অরাজক একটা পরিবেশ। এখন সাম্প্রাদয়িকতার জন্য বাংলার নাম উঠে আসছে। এখানে ইডি-সিবিআই তদন্তে এলে গুন্ডারা হামলা চালায়। এখানে আইনশৃঙ্খলা নেই।সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজনাথ বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা ভারতের নয়, গোটা দুনিয়ার যে দেখেছে সেই বলেছে এটা মানবতার লজ্জা। মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর খাদির আড়ালে বাংলায় লুঠ চলছে। এখানে চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। আপনার নামেই শুধু মমতা, আচার-ব্যবহারে মমতা পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনার মনের মমতা কোথায় গেল?অন্যদিকে, দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টরমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে সেই সভা আজ বাতিল হয়ে গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিলিগুড়ি থেকে উড়তেই পারেনি শাহের কপ্টার। তবে সভায় না এলেও ফোনে বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ।রাজু বিস্তার ফোনে শাহ বলেন, গোর্খাদের পাশে আছি আমরা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। দেশের ইতিহাসে গোর্খাদের বড় অবদান আছে। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে একমাত্র বিজেপিই। আপনারা মোদিজীর পাশে থাকুন। ২৬ তারিখ রাজু বিস্তাকেই পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।

এপ্রিল ২১, ২০২৪
রাজ্য

৪০০ পার করার স্বপ্ন দেখছে, ২০০ পার করে দেখাক, বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার

ইতিমধ্যে রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের আরও ৩ কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। চড়কিপাক খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মালদায় জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লি দখলে ৪০০ পার করার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আমি বলছি আগে ২০০ আসন পার করে দেখান, তারপরে সাঁতার কাটবেন। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য ছাড়া কোথাও ভোট নেই আপনাদের । তাহলে এত লম্পঝম্প কিসের। এবারে দিল্লি দখলে মানুষ আমাদের পাশেই থাকবে।মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপিকে কেন ভোট দেবেন? ওরা মানুষের জন্য কি করেছে? মালদার এক বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু পাঁচ বছরের ২৫ কোটি টাকা পেয়েছে। একটা পয়সাও উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করেনি। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা কথা বলে ভোট পাওয়া যায় না। উন্নয়নই শেষ কথা। আপনারা করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি। এদিন দুপুরে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির সমর্থনে গাজোল কলেজ সংলগ্ন মাঠেই নির্বাচনী জনসভা বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জনসভার শেষে ধামসা, মাদলের সঙ্গে আদিবাসীদের সাথে নৃত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।এদিনের এই নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চান। এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম নূর, দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস প্রমূখ।এদিন মালদায় আরেকটি জনসভা করেন মমতা। মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের এনেয়াতপুরে দক্ষিণ মালদার তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হানের সমর্থনে আরেকটি নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।এদিন গাজোলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণ ভারত, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে বিজেপির ভোট নেই। তাহলে ওদের এত কিসের দাম্ভিকতা । লোকসভার ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে গতবার ওরা পেয়েছিল ৩০৩টি আসন । এবার স্বপ্ন দেখছে ৪০০ আসন পার করার। আমি বলছি ২০০ আসন পার করে দেখান। তারপরে সাঁতার কাটবেন। দিল্লি এবার আপনাদের দখলে যাবে না।এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন , মালদার যারা পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তারা নির্বাচনের সময় অন্তত এসে ভোটটা দিয়ে যান। নইলে পরে দেখবেন হয়তো বিজেপির ওই সরকার আপনাদের সাথে দুষ্টুমি করে নামটাই হয়তো বাদ দিয়ে দিবে। আর তখন এনআরসি এবং সিএএ ছকে ফেলে আপনাদেরকে নিয়ে ছলনা করা হবে। তবে আমি বেঁচে থাকতে এই বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। মনে রাখবেন আমি বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাই ওরা আজকে এত ভয় পাচ্ছে।এদিন নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী গণিখান চৌধুরী প্রসঙ্গে বলেন, বরকতদা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন ওনার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। উনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। এক সময় মানুষ ওনাকে ভোট দিয়েছেন তার কাজের জন্য। কিন্তু এখন আবার কি। অনেক তো হলো। আমরা তো বরকত সাহেবের ভাগ্নি মৌসুম নূরকে এর আগে টিকিট দিয়েছিলাম। এখন মৌসম রাজ্যসভার সাংসদ।

এপ্রিল ২০, ২০২৪
দেশ

কেজরীওয়াল: টেক্কা না পুট?

রাজনীতির পন্ডিতরা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি ইন্দিরা গান্ধীর রাজনীতি থেকে পাঠ নিয়েছেন। তাই তাঁর নিশানায় সদা সর্বদা জহরলাল নেহরু থাকলেও কন্যা ইন্দিরা অনুপস্থিত। এই চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি। পন্ডিতদের অনেকে বলছেন, অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করে বিজেপি সরকার বোধহয় চরন সিং য়ের মতো ভুল করে ফেলল। ইমার্জেন্সী কালো দিন পেরিয়ে ১৯৭৫ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়। জরুরি অবস্থার টাটকা স্মৃতি ইন্দিরার সিংহাসন টলিয়ে দেয়। কেন্দ্রে প্রথম ক্ষমতায় বসে অ-কংগ্ৰেসী সরকার। জনতা সরকার দিল্লির কুর্সি তে বসার কিছুদিন পরেই চরন সিং য়ের নির্দেশে দুর্নীতির অভিযোগে ইন্দিরা কে গ্রেফতার করে সিবিআই। পড়ে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেননি নেহরু কন্যা। এই ঘটনা কে সহানুভূতির হাওয়ায় পরিনত করেন ইন্দিরা গান্ধী। যার ফল হাতে নাতে মেলে কয়েক মাস পরে চিকমাগালু কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। জনতা দলের প্রার্থী George Fernandes কে হারিয়ে উপনির্বাচনে জেতেন ইন্দিরা। আর ওই সহানুভূতির বিন্দু থেকেই ঘুরতে শুরু করে দেশের রাজনীতির হাওয়া। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারিতে অনেকে ওই রাজনৈতিক অতীতের ছায়া দেখছেন। লোকসভা ভোটের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে গ্রেফতার করে নিশ্চয়ই বড় লাভের আশাই করছে বিজেপি। তাই আপের কর্মী সমর্থকদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে বিশেষ আমল দিতে চাইছেনা গেরুয়া শিবির। যদিও সমাজ মাধ্যমে কেজরীওয়ালের সমর্থনে হাওয়া জোরালো হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল বোধহয়। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্না হাজারের আন্দোলন মনমোহন সিং সরকারের ভিত দুর্বল করে দিয়েছিল। সেই আন্দোলনের প্রথম সারির সৈনিক ছিলেন কেজরীওয়াল। রাজস্ব দপ্তরের উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে রাজনৈতিক দল গড়েন তিনি। শুরু থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নতুন দল আপের প্রধান ঘোষিত লক্ষ। গত দশ বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইমেজকে আরো শাণিত করেছেন কেজরীওয়াল। কেজরীর এই ইমেজকেই বিদ্ধ করতে চাইছে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে গ্ৰেপ্তারের সিদ্ধান্ত চটজলদি নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। একবছর আগে যখন আবগারি দুর্নীতি মামলায় তাঁর ডেপুটি মনীশ সিসৌধিয়া কে গ্রেফতারি করা হয়েছিলো তখন থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে ঘিরে ফাঁদ ছোট করে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে ইডির অভিযোগের দিকে চোখ রাখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যায়। আদালতে ইডির দাবি আবগারি দুর্নীতির মূল চক্রান্তকারী হলেন কেজরীওয়াল। এই দুর্নীতি তে পাওয়া অর্থ গোয়া নির্বাচনে ব্যবহার করেছে আপ। দক্ষিণ ভারতীয় মদ ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতেই আবগারি নীতি তে পরিবর্তন করা হয়েছিল।আর এই সুবিধার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। ইডির আবগারি হাওয়ালার মাধ্যমে ঘুষের টাকা লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে USP তৈরি করে ছিলো কেজরীওয়াল তার মুখটা তার দিকে ই ঘুরিয়ে দাও। মনীশ সিসৌধিয়া সঞ্জয় সিং, সত্যেন্দ্র জৈন কে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার কেজরীওয়াল গ্রেফতার হওয়ায় আপের শীর্ষ নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে শুন্যতা। এরা লোকসভায় প্রচারে না থাকায় দিল্লির তিন চারটি লোকসভা আসনে বিজেপি সুবিধা পেতে পারে। এবারে কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছে। ফলে বাকি আসন গুলোয়ে নিশ্চিত নয় বিজেপি। ২০১৪ এবং ২০১৯ য়ের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনেই বিজেপি জিতেছিল এবার সেখানে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেওয়ার কারণেই কি ভোটের মুখে গ্রেফতার? নাকি এর পিছনে আরো বড় কোনো কারণ রয়েছে? এই মুহূর্তে সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার কাছাকাছি কোনো নেতা বা নেত্রী নেই। অনেকেই মনে করছেন শুধু মাত্র ২০২৪ য়ের নির্বাচনে আসন বাড়ানোর জন্য ই কেজরীওয়ালকে নিশানা করা হয়নি। কেজরিওয়ালের গুরুত্ব অন্য জায়গায়। আপাতদৃষ্টিতে কেজরিওয়াল জাদু রয়েছে দিল্লি এবং পাঞ্জাবে। তার মধ্যে দিল্লি রাজ্য হয়েও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। কিন্তু দেশের রাজধানী হওয়ায় দিল্লি সবসময় ই দেশ বিদেশের নজরে রয়েছে। এর পাশাপাশি, কেজরিওয়াল নরম হিন্দুত্বের সঙ্গে তার নতুন চলনের রাজনীতির মিশেল ঘটিয়েছেন। যে রাজনীতি ডান-বাম কোনো আদর্শের কথা বলে না। শুধু বলে জনতার জন্য কাজ। শুধু মুখে নয় এই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ, জল, স্কুল শিক্ষা এবং মহল্লা ক্লিনিকের মাধ্যমে দিল্লিবাসীর মন জয় করেছেন।এই কেজরীওয়াল মডেল এখন দেশ বিদেশে অনেকের নজর কেড়েছে। তারওপর কেজরীওয়ালের রাজনীতিতে পারিবারিক পরম্পরার কোনো বিষয় নেই। গন আন্দোলনের মঞ্চ থেকেই রাজনীতি কেজরীওয়ালের নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা। আপ এখন আঞ্চলিকতার গন্ডি পেরিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে ডানা ছড়াচ্ছে। এই কারণে ই কি কেজরীওয়ালের মধ্যে গোকুলে বাড়ার ভয় পাচ্ছে বিজেপি? অদূর ভবিষ্যতে কি কেজরিওয়াল নরেন্দ্র মোদীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির?তাই এই আগ বাড়িয়ে বড় চাল দেওয়া? এখন রাজনীতির মাঠে এই চাল ইস্কাবনের টেক্কা হয়ে দেখা দেবে নাকি লুডো খেলার দানে পুট হয়ে ঝরে পড়বে তার উত্তর দিতে পারবে ভবিষ্যৎ।

মার্চ ২৫, ২০২৪
দেশ

গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকত

গতবারের মতো এবারও লোকসভা ভোট হবে সাত দফায়। দেশের ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে এক দিনেই। আর বাকি রাজ্যে একাধিক দফায় ভোট হবে। এরমধ্যে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশে এই তিন রাজ্যে ভোট হবে সাত দফায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই তিন টি বড় রাজ্য এবং অতীতে ভোটে হিংসার কথা মাথায় রেখেই সাত দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ভোট যেমন দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এবং এক এক রাজ্যে নানা দফায় ভোট হবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ই বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে টক্কর চলবে। তবে, যেহেতু লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের মতো আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির সরাসরি লড়াই হবে তাই মোদী সরকারের গ্যারান্টি বনাম কংগ্রেসের ন্যায় গ্যারান্টি কোনটাতে জনতার মজবে সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।এই গ্যারান্টি বনাম গ্যারান্টির রিঙের বাইরে মূল যে বিষয়গুলি নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসছে তার হল , নির্বাচনী বন্ড, কৃষক আন্দোলন, রাম মন্দির নির্মাণ, বেকারত্ব, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। দেশটির নাম ভারতবর্ষ। এই দেশের মাটিতে রাজ্য থেকে রাজ্যে বৈচিত্র্যের চাষ। সে বৈচিত্র, ভাষায়, পরিধানে, সংস্কৃতিতে, খাদ্যাভ্যাসে কোথায় নেই? তাই সব রাজ্যে সব ইস্যু যে ভোট ভিক্ষুকদের মুখে শোনা যাবে তা নয়। রাজ্যে রাজ্যেই সুর বদলাবে ন্যারেটিভ বা ভাষ্য এবং রঙ। একবার দেখে নেওয়া যাক অঞ্চল ভেদে কোন ইস্যু কোথায় ভোট প্রচারে প্রাধান্য পেতে পারে।CAA সংশোধনী আইন, অসম ও বঙ্গে কী ভূমিকা নিতে পারে?বাম ও কংগ্রেস ক্রমশ দূর্বল হওয়ায় বঙ্গে প্রধান বিরোধী আসনে বসেছে বিজেপি। কিন্তু গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল বলছে তৃনমূল কংগ্রেসে রাজ্যপাট দখলের থেকে এখনো দূরে ই রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে CAA চালু করে রাজ্যের মতুয়া সহ ৩৪ শতাংশ নমঃশূদ্র ভোট ঝোলায় পুরে অনেক দূর এগোনো যাবে বলে আশা বিজেপির। এর সঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যুতে মহিলা ভোট ও তৃণমূল অনেকটাই হারাতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু CAA নিয়ে মতুয়াদের বড় অংশের উচ্ছাস উদ্বেগে পরিনত হয়ে এখন ক্ষোভের চেহারা নিয়েছে।এই অবস্থায় তৃনমূলের আশা মতুয়া ভোটে ভাগ বসানো যাবে।রাম মন্দির নির্মাণ ও উত্তর প্রদেশরাম মন্দির নির্মাণ উদযাপন দেখেছে গোটা দেশ। সেই সময় মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যে হিন্দুত্বের বিকাশ ই দেখেছে বিজেপি । এরসঙ্গে তাদের আশা বাড়িয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির - জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দু পক্ষের পালে হাওয়া গেরুয়া শিবিরের আশা আরও বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭১টি আসন পেয়েছিল NDA.আর গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল ৬৪টি আসন। এবার ওই দুই ইস্যুতে আসন বাড়ার বাড়ার আশায় গেরুয়া শিবির।মরাঠা ভূমে জোর টক্করমহারাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরেই রাজনীতিতে ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। প্রধান দুই আঞ্চলিক দল শিব সেনা আর NCPতে গড়ার বদলে ভাঙনের ছাপ অত্যন্ত স্পষ্ট। রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি ও যেন আরব সাগরের তীরে কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে জনতা জনার্দন কোন মরাঠা বীর কে জয়তিলক পরান সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।বিহারে ফল কি পিছনে এগোবে?লোক হাসিয়ে, লোক মাতিয়ে ফের বিজেপি তে ফিরেছেন নিতীশ কুমার। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আনুগত্য ও জানিয়ে এসেছেন।২০১৯ শে এই রাজনৈতিক জুটি ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৯ টি জিতেছিল। এবার সঙ্গে রয়েছে চিরাগ পাশোয়ানের এল জে পি। খাতায় কলমে বিহারে NDA জোটে উচ্চবর্ণ ,অ-যাদব OBC, EBC এবং দলিত ভোট ব্যাঙ্কের কোলাজ। উল্টো দিকে কংগ্রেস, RJD ও বাম জোটের ভরসা মূলত মুসলিম, যাদব, আর EBC ভোট। তবে জাতপাতের রাজনীতি টপকে এই জোটের প্রচারের মূল সুর দেশ জুড়ে বেকারত্বের সমস্যা। জাতপাতের ঘেরাটোপে থেকে বিহারে কি ২০১৯শের নির্বাচনী ফলের পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি জাতপাত সরিয়ে RJD জোটের প্রচার ই গুরুত্ব পাবে। এই প্রশ্ন ঘিরে ই লড়াই বিহারে। দাক্ষিণাত্যে গেরুয়া কি ফিকেই থাকবে? এবারের লোকসভা নির্বাচনে NDA র লক্ষ ৪০০ আসন। এরমধ্যে বিজেপির একার লক্ষ ৩৭০ আসন। বিজেপি জানে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হিন্দি বলয়ের বাইরে আসন বাড়াতে হবে। তাই এবার বিজেপির বিশেষ নজরে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং দাক্ষিণাত্য । দক্ষিণের কেরল, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ , তেলেঙ্গানা এবং পুদুচেরি এই ছয় রাজ্য মিলিয়ে মোট লোকসভার ১২৯ টি আসন রয়েছে । এর মধ্যে ২৯টি আসন বিজেপির। অতএব ৩৭০ আসনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দক্ষিণে বিজেপি কে ভালো ফল করতেই হবে। ফলে দক্ষিণে এবার লোকসভা নির্বাচনে দ্রাবিড় বনাম হিন্দুত্বের রাজনীতির জোর টক্কর।

মার্চ ২০, ২০২৪
রাজনীতি

বিজেপির সদস্যপদ পুনঃ নবীকরণ করলেন অর্জুন সিংহ, দিল্লি পদ্মে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী

পুনরায় দিল্লীতে বিজেপি যোগদান করলেন ব্যারাকপুরের সদ্য প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ এবং তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আজ শুক্রবার পুর্ব নির্ধারিত সুচী অনুযায়ী দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে বিজেপির উত্তরীয় পরেন প্রাক্তন দুই সাংসদ। দুই নেতাকে সাংবাদিক সাংবাদিক বৈঠক করে সাদ্রে বরণ করে নিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।দিব্যেন্দু অধিকারী এবং অর্জুন সিংকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অমিত মালব্য বলেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে ভাবে বিজেপিতে ওঁরা যোগ দিলেন, সেটা থেকে বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় ভীষণভাবে দুঃখ পেয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ। তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন। অমিত মালব্য আরো বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের একাধিক মন্ত্রী দুর্নীতির জন্য জেলে আছেন। আদালতের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আজ সারা বাংলায় আইনের শাসন নেই। যাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি আনতে চান, তাঁদের সকলকে আমরা বিজেপি দলে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, আজ আমার জন্য শুভ দিন। আমি বিজেপি পরিবারের সদস্য হলাম। অর্জুন সিংহের সঙ্গে আমি লোকসভায় কাজ করেছি। আমাদের নেতা মোদীজি সারা দুনিয়ার নেতা। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই দলে যোগ দিয়েছি। সুকান্ত মজুমদার, দাদা শুভেন্দু অধিকারীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন দিব্যেন্দু। দিব্যেন্দু আরও বলেন, আমরা মা দুর্গা, মা কালীর পুজো করি। সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে যা হয়েছে, নিন্দা করার ভাষা নেই। সন্দেশখালি এখন সারা দেশের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপি ওখানকার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ৫০০-১০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের সম্মান করা যায় না। মমতার দল বাংলার মহিলাদের সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মার্চ ১৫, ২০২৪
রাজনীতি

দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম সন্দেশখালী? বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর

আজ দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে সন্দেশখালি নিয়ে একাধিক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা শেখ শাহজাহান এই বিষয়ে বলেন, ধরবে না। ভোট আসবে আর কালীঘাটে টাকা সাপ্লাই করবে।রাজীব কুমার সন্দেশখালিতে রাতে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, চোর ধরতে যায়নি। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়েছিল। জমি ফেরত তো আমি করেছি। নিজের জমি নিজে নেবে এতে পুলিশ কি করবে। আর জেলিয়াখালিতে গিয়েছিলেন শিবু হাজরার ম্যানেজার হিসাবে। উনি বলেছেন শাহজাহান ইডি সিবিআইয়ের মামলা পুলিশ নট ইন্টারেস্টেড। উনি গিয়েছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কারণ উনি তো এখন তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট। সুব্রত বক্সী নামেই প্রেসিডেন্টের কাজটা রাজীব কুমারকে সুব্রত বক্সী দিয়েছেন।সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে? প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, হ্যাঁ, বশ্যতা বিরোধী সংগ্রাম। নন্দীগ্রাম শুরু হয়েছিল জমি অধিগ্রন দিয়ে। এটা শুরু হয়েছে মেয়েদের উপর অত্যাচার দিয়ে। তার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ তো রয়েছে। তবে যেটা নন্দীগ্রামে ছিল না সেটা এখানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে ২০১৩ সাল থেকে কেউ ভোট দিতে পারেননি। তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে এই সংগ্রাম।আমি ওই সম্প্রদায়কে প্রণাম জানাই। যদি কোনো ছবি দেখান যা বলবেন স্বীকার করে নেবো। ওটা ম্যানুফ্যাকচার্ড পিকচার ভয়েস ওটার সঙ্গে আমাদের দলের বা আমার কোনো সম্পর্ক নেই। শিখ পুলিশ কর্মীকে খালিস্তানি বলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানান শুভেন্দু অধিকারী।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
দেশ

এবার আর অভিষেক নয়, সাংসদদের নিয়ে ডিসেম্বরেই দিল্লি অভিযানের ডাক মমতার

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিষেকও উপস্থিতি ছিলেন। রাজ্যের পাওনাগণ্ডা আদায়ে গত অক্টোবরে রাজধানীর বুকে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৃণমূল। যার নেতৃত্বে ছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁকে পুলিশের হাতে হেনস্থাও হতে হয়েছে। দুমাসের মধ্যে ফের একবার দিল্লি অভিযানে নামছে জোড়া-ফুল। তবে এবার আর অভিষেক নয়, অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজী ইন্ডোরে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে এই ঘোষণা করেছেন সুপ্রিমো।আগামী মাসেই দিল্লি চলো-র ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। নেতাজী ইন্ডোরে এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে আমরা দিল্লিতে যাব। সেই সময় সংসদে অধিবেশন চলবে। আমি দলের সব সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখার করার সময় চাইব। যদি সময় দেন ভাল, নাহলে রাস্তাই আমাদের পথ দেখাবে। যদি আমাদের মারে, মারুক অসুবিধা নেই। সিপিএমের কাছে অনেক মার খেয়েছি। আপনাদের কাছেও না হয় একটু মার খেলাম। মার খেলে শক্তি বাড়ে, চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। এখন থেকে তৈরি হতে হবে।গত ৩ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীরা। অভিষেক তখনই জানিয়েছিলেন, এই আন্দোলনে দিল্লির সরকার বকেয়া টাকা না মেটালে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। সেইমতই দিল্লির অভিযানের সময় ঘোষণা করলেন দলনেত্রী। তবে এখনও দিনক্ষণ জানাননি। আগামী দিনে রাজধানীতে কি তোলপাড় হয় সেদিকেই এখন নজর।বকেয়া থেকে ইন্ডিয়া জোট- একাধিক ইস্যুতে এ দিন মোদী সরকারকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেছেন, দিল্লি এবার দখল হবে। আর তিন মাস ওঁদের মেয়াদ। কিন্তু আমাদের ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস ও রাস্তার টাকা দিতেই হবে। এটা তোমাদের টাকা নয়, জনগণের টাকা। জনগণের টাকা ফেরত দাও, নইলে বিদায় নাও। এর বাইরে আর কোনও কথা নেই।

নভেম্বর ২৪, ২০২৩
দেশ

দিল্লিতে অভিষেকদের কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক বাংলায়

কৃষিভবনে রাজ্যের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ জানাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় টেনেহিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে আটক করা হয় তৃণমূলের নেতানেত্রীদের। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর কাছে অভিষেকের নেতৃত্বে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী দেখা তো করেনইনি। উলটে, রাত ৯টার পর বিশালসংখ্যক পুলিশবাহিনী কৃষিভবনে প্রবেশ করে। পুলিশ তৃণমূল নেতাদের জানায়, অবিলম্বে কৃষিভবন খালি করে দিতে হবে। কৃষিভবন বন্ধ করা হবে। তৃণমূল নেতারা কৃষিভবন থেকে বের হতে না-চাওয়ায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদের প্রথমে চ্যাংদোলা করে, জোর করে কৃষিভবন থেকে বের করে দিল্লি পুলিশ।এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের আটক করে বাসে চাপিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে যায়। তিনটি বাসে চাপিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের নিয়ে যাওয়া হয়। পর্যন্ত তৃণমূলের আটক সাংসদদের উৎসব সদন মুখার্জিনগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানার ভিতর থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বাসে চাপিয়েই পুলিশ নিয়ে চলে যায় উৎসব সদন সশস্ত্র পুলিশের ক্যাম্পে। খবর পেয়ে রাতেই ক্যাম্পের বাইরে জড় হন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। রাত ১১টা নাগাদ তাঁদের পুলিশলাইন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।এর আগেই তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কৃষিমন্ত্রী গিরিরাজ সিং থাকবেন না। বদলে কৃষি ভবনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির কাছে মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ বাংলার বঞ্চিত জব কার্ড হোল্ডারদের চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল অভিষেক-সহ তৃণমূল নেতৃত্বের। সময় মতই মন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেতারা। তারপর প্রায় ঘন্টা তিনেক অতিক্রান্ত হলেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেখা করেননি প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উলটে তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, পাঁচ জন এলে দেখা করতেন মন্ত্রী। কিন্তু, ৪০ জন এসেছেন, তাই তিনি দেখা করবেন না। এই কথা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।বঞ্চিতদের চিঠি নিজের কাঁধে চাপিয়ে নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী না দেখয় করায় তিনি কৃষি ভবনের মেঝেতেই বসে পড়েন। তাঁর দাবি, মন্ত্রী দেখা না-করা পর্যন্ত কৃষিভবন ছাড়বেন না। তাঁর দেখাদেখি কৃষিভবনের মেঝেতে বসে ধরনা শুরু করেন তৃণমূলের অন্যান্য প্রতিনিধিরাও। কৃষিভবনে ধরনা চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, বিকেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কৃষিভবনে এসেছিলেন। মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু, বঞ্চিতদের প্রতিনিধি তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করেননি। উলটে একেকবার একেকরকম কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিভ্রান্ত করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাত ৯টাতেও কৃষি ভবনে মন্ত্রীর অপেক্ষায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।তার আগে রাত আটটার পর কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দফতর থেকেই অপেক্ষমাণ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ভিডিও বার্তায় বলেন, দেখা করব বলেছিলেন। ওঁনার দেওয়া সময় মতই আমরা এসেছি। দুপুরে উনি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলার টাকা আটকে রাখার চিঠি নিয়েছেন। আর আমাদের সময় দিয়েও এখন মন্ত্রী বলছেন আসবেন না।কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা বাংলার বকেয়া অর্থের দাবিতে ৪০ জনের প্রতিনিধি নিয়ে এসেছেন। সেই প্রতিনিধিদলে আছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহু মন্ত্রী এবং ১০০ দিনের কাজ করেও মজুরি থেকে বঞ্চিত বেশ কয়েকজন। এত লোকের সঙ্গে মন্ত্রীর দেখা করা সম্ভব নয়। সর্বাধিক তৃণমূলের পাঁচ জন প্রতিনিধি এলে দেখা করতেন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। এরপর তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে না-জানিয়েই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৃষি ভবন থেকে বেরিয়ে যান বলে খবর পান তৃণমূল নেতৃত্ব।তৃণমূল নেতৃত্ব দিল্লিতে গ্রেফতার হয়েছে, সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দিল্লির রাজপথে নেমে পড়েন তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও শুরু হয় বিক্ষোভ। রাজ্য বিজেপির দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ চলে। দিল্লিতে কৃষিভবনের বাইরেও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। কিন্তু, কৃষিভবনের বাইরে বিপুলসংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
দেশ

ধূপগুড়িতে জয় তৃণমূলের, উচ্ছ্বসিত মমতা গেলেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে বলেন, আমি ধুপগুড়ির মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। চা বাগান থেকে রাজবংশী সবাই যেভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। বিজেপির একটা শক্ত ঘাঁটি। বিজেপির মন্ত্রীরা সবাই ওখানে পড়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বড় জয়। সারা ভারতে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে চারটিতে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট জয়লাভ করেছে। উত্তর প্রদেশের মত জায়গাতে বিজেপি হেরেছে। ত্রিপুরায় দুটো আসনে জিতেছে বিজেপি। সেখানে কাউকে লড়তেই দেয়নি। ৯০ শতাংশ ভোটে জয়লাভ করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বড় জয় এটা।ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের প্রাপ্ত ভোট- ৯৬,৯৬১। বিজেপির তাপসী রায় পেয়েছেন ৯২,৬৪৮। বাং-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী পেয়েছেন১৩,৬৬৬ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী ভোট জিতেছেন ৪,৩১৩টি ভোটে। শতাংশের বিচারে তৃণমূল পেয়েছে ৪৬ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
দেশ

কেন্দ্রীয় নয়া প্রকল্পে আধুনিকীকরণ বাংলার ৩৭টি রেল স্টেশনে

রেলের উন্নয়নে দেশব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সারা দেশের ১৩০০ স্টেশনের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০৮টি রেলস্টেশনের পুনর্বিকাশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। এই তালিকায় রয়েছে এই রাজ্যের ৩৭টি স্টেশন। রবিবার এই স্টেশনগুলোর পুনর্বিকাশের কাজ শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।মেদী বলেন, বিকাশের পথে ভারত তার যাত্রা শুরু করেছে। নতুন উদ্যম, নতুন প্রেরণা, নতুন সঙ্কল্পের সঙ্গে আজ ভারতীয় রেল নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় ভারতের প্রায় ১৩০০ রেলস্টেশনের উন্নয়ন হবে। স্টেশনগুলো আরও আধুনিক হবে। আজ থেকেই ৫০৮টি স্টেশনের উন্নয়নের কাজ শুরু হয়ে গেল।এরাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি জলপাইগুড়ি রয়েছে এই প্রকল্পে। এই জেলায় সর্বাধিক আটটি স্টেশনের পুনর্বিকাশ হবে। বিকাশের তালিকায় রয়েছে বিন্নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, হাসিমারা, জলপাইগুড়ি রোড, কামাক্ষাগুড়ি এবং নিউ মাল স্টেশন। এরপর বর্ধমানের পাঁচটি স্টেশনেও আধুনিকীকরণ হবে। নদিয়া জেলার চারটি স্টেশন নতুন রূপ পাবে।। এ ছাড়াও জেলাভিত্তিক তালিকায় আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, হুগলির তিনটি করে রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণ হবে। অমৃত ভারত স্টেশন হবে কোচবিহারের দিনহাটা। আধুনিকীকরণের তালিকায় রয়েছে শিয়ালদহ।পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলার কোন কোন স্টেশনের পুনর্বিকাশ হবে?আলিপুরদুয়ার (৩)দলগাঁও, ফালাকাটা, নিউ আলিপুরদুয়ারবর্ধমান (৫)অণ্ডাল জংশন, বর্ধমান, আসানসোল, কাটোয়া, পাণ্ডবেশ্বরবীরভূম (২)বোলপুর (শান্তিনিকেতন), রামপুরহাট জংশনকোচবিহার (১)দিনহাটাউত্তর দিনাজপুর (৩)আলুয়াবাড়ি, ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জহুগলি (৩)অম্বিকা কালনা, শেওড়াফুলি জংশন,তারকেশ্বরজলপাইগুড়ি (৮)বিন্নাগুড়ি, ধুপগুড়ি, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, হাসিমারা, জলপাইগুড়ি রোড, কামাক্ষাগুড়ি, নিউ মাল জংশনকলকাতা (১)শিয়ালদহমালদা (২)মালদহ টাউন, সামসিমুর্শিদাবাদ (৩)আজিমগঞ্জ, বহরমপুর কোর্ট, নিউ ফরাক্কা জংশননদিয়া (৪)কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, বেথুয়াডহরি, নবদ্বীপ ধান, শান্তিপুরউত্তর ২৪ পরগনা (২)ব্যারাকপুর জংশন, চাঁদপাড়া

আগস্ট ০৮, ২০২৩
রাজনীতি

দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি! মমতার বক্তব্যে জোট নিয়ে কিসের ইঙ্গিত?

জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারকে উৎখাত করতে রাহুল, মমতা, নিতীশ, লালুপ্রসাদ, স্ট্যালিনরা বৈঠক করেন পাটনায়। ফের আগামী জুলাইতে বিরোধী দলগুলো বৈঠক করবে সিমলাতে। সর্বভারতীয় স্তরে যতই বিজেপি বিরোধী জোটের ঐক্য গড়ার উদ্যোগ হোক না কেন বাংলায় যে কংগ্রেস, সিপিএমকে তৃণমূল এক ছটাও জায়গা ছাড়তে নারাজ তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারমঞ্চকে বেছে নিলেন আগামী লোকসভা ভোটের ক্ষেত্র প্রস্তুতির কাজে। সোমবার কোচবিহারের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে এল বিজেপি বিরোধী মহাজোটের প্রসঙ্গ। বাংলায় মহাজোটের সমীকরণ নিয়েও প্রসঙ্গ এল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে, আগামী লোকসভায় বিজেপিকে আমরা পরাজিত করব এবং দেশে একটি উন্নয়নমুখী সরকার গড়ব। তবে, তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্য যে, দিল্লিতে আমাদের মহাজোট হবে। বাংলায় সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি জোট করেছে। ওদের পরাজিত করুন। এখানে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ব। আমরা বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসকে পরাজিত করব।শিক্ষক নিয়োগ থেকে আবাস কেলেঙ্কারি, তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটে যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক শিবির। বিলক্ষণ জানেন দলনেত্রী। সমস্যা মোকাবিলায় তাই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমেই দুর্নীতি দূরীকরণের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কোচবিহারের প্রচার সভায় তাঁর প্রতিশ্রুতি, আমাদের দল তৃণমূল স্তরে আর দুর্নীতি হতে দেবে না।এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পঞ্চায়েতকে তেমন গুরুত্ব দেইনি। এখন দেখছেন জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে। দুই মাস আগে মতামত চাওয়া হয়েছিল। কাউকে টাকা দেবেন না। আমরা চুরি হতে দেব না। কেউ টাকা চাইলে তার ছবি তুলে আমাকে পাঠান। আমরা এখন থেকে পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রণ করব। কাউকে চুরি করতে দেবেন না। আমরা জনগণের পঞ্চায়েত চাই।প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতার দাবি, একজন কোটি কোটি টাকা নিয়ে রাশিয়া-আমেরিকা যাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র বাংলার একশ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বারবার অনুরোধ করেও টাকা দিচ্ছে না। কেন্দ্র একশ দিনের কাজের জন্য সাত হাজার কোটি টাকা দেয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়যুক্ত হওয়ার পরে তৃণমূল সেই অর্থ আদায় করবে।একুশের বিধানসভা ভোটে শীতলকুচিতে গুলি চলেছিল। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিএসএফের কাজে বড় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমার কাছে তথ্য আছে যে কিছু বিএসএফ আধিকারিক সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন, ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন এবং ভোট না দিতে বলছেন। আমি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্ভয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে বলছি। যদি বিএসএফ আপনাকে ভয় দেখায়, পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ এফআইআর দায়ের করবে এবং আইন আইনের পথে চলবে।

জুন ২৬, ২০২৩
দেশ

শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ ৩০ টুকরোই, রোমহর্ষক খুনের ৬,৬২৯ পাতার চার্জশিট পেশ

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের রোমহর্ষক খুনের ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে দিল্লি পুলিশ। গায়ে কাঁটা দেওয়া ওই খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। হতবাক হয়েছে দেশবাসী। অভিযোগ, খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধী। তাঁর লিভ-ইন-পার্টনার মৃতদেহ কেটে একাধিক টুকরো করেছিল। শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় মোট ৬,৬২৯ পাতার চার্জশিট আদালতে পেশ করছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, গত বছরের মে মাসে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে আফতাব পুনাওয়ালা। হত্যার করে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে দেহাংশগুলো ফেলে এসেছিল কাছের জঙ্গলে। কেন খুন করা হয়েছে সেই কারণও বলা হয়েছে চার্জশিটে। তদন্তকারীদের অনুমান, পুরোনো এক বন্ধুর শ্রদ্ধার দেখা হওয়াই কাল হয়েছিল। ওই সাক্ষাতের পর ১৮ মে আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে মারপিট হয়। তারপরই শ্রদ্ধাকে নৃশংস ভাবে খুন করে আফতাব।দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(সাউদার্ন রেঞ্জ) মিনু চৌধুরী বলেন, শ্রদ্ধা তাঁর এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরেছিল। আফতাব এই ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ে। সে শ্রদ্ধার সঙ্গে মারামারি করে। এই সময়ই রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। চার্জশিটে মোট ১৫০ জন সাক্ষীর উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল আফতাব। তারপর নিজের লিভ-ইন পার্টনারের দেহ সে ৩০ টুকরো করে। সেই দেহাংশগুলোই মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিল আফতাব। চার্জশিটে আফতাবের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা (খুন), ২০১ ধারা (প্রমাণ নষ্ট)-র অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।এই মামলার তদন্তে পুলিশ মোট ৯টি দল গঠন করেছিল। গঠন করা হয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দলও। পুলিশকে তদন্তের কারণে ছুটতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে ডিএনএ টেস্ট, নার্কো টেস্ট, ভয়েস অ্যানালাইসিস এবং মুখমণ্ডল পরীক্ষাও করা হয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং ফোনের কল ডিটেলসেও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
রাজনীতি

২১ ডিসেম্বরের আগের দিনই দিল্লিতে শাহ-শুভেন্দু-সুকান্ত বৈঠক, নয়া কৌশল?

ডিসেম্বর ডেডলাইন দেওয়ার পর তিনটে তারিখ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে নজর রাখতে বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার মধ্যে ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর পেরিয়ে গিয়েছে। সামনে ২১ ডিসেম্বর, বুধবার।১২ ডিসেম্বর সিবিআই হেফাজতে বগটুই কান্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু। এই অনুষ্ঠানে শুরুতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল অভিযোগ করে এই দুদিনের দুটি ঘটনাই কি শুভেন্দুর ডিসেম্বর ধামাকা? এবার বাকি রইল তৃতীয় তারিখ ২১ ডিসেম্বর।এদিকে ২০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে থাকবেন দলের রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্বভাবতই ২০ ডিসেম্বরের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২১ ডিসেম্বরের আগে দিল্লিতে ওই বৈঠকের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২২
দেশ

পড়শি দেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত ৬, দিল্লিসহ উত্তর ভারতেও কম্পন

ভোর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। বুধবার ভোরের ভূমিকম্পে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৬। জানা গিয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পের জেরে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে প্রতিবেশি দেশে। কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী দিল্লসহ উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায়।জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট থেকে ১৫৮ কিমি উত্তর-পূর্বে। এটা নেপাল সীমান্ত লাগায়ো দোতি জেলা। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরে কম্পনের কেন্দ্রস্থল। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভোর রাত ২.১২ মিনিট নাগাদ দোতিতেই কম্পনের জেরে বাড়ি ভেঙে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নেপালের ভূমিকম্পের জেরে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের একাধিক স্থানে।এই কম্পনের আগে দুবার কম্পন হয়েছে। ওই একই উৎসস্থলে মঙ্গলবার রাত ৯.০৭ -এ রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার কম্পন হয়, তারপর রাত ৯.৫৬ নাগাদ একই কেন্দ্রস্থলে ৪.১ মাত্রার কম্পন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
দেশ

চোখের পলকে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল টুইন টাওয়ার অবশেষে শেষ রক্ষা হল না

দীর্ঘ ৯ বছরের আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নয়ডার ৪০তলার সুপারটেক টুইন টাওয়ার। অভিযোগ উঠেছিল এটি নাকি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত দুটি টাওয়ারের মধ্যে দূরত্ব রাখা হয় ১৬ মিটার। কিন্তু এই দুটি টাওয়ারের মধ্যে দূরত্ব ছিল ৯ মিটারের থেকেও কম। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভাঙতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক একত্রিত করা হয়েছিল, সময় লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। কোটি কোটি টাকার ব্যয়ে তৈরি টুইন টাওয়ারের ভবিষ্যত্ অবশেষে ধুলোয় পরিণত হল। আগেই টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।এমনকি বাড়ির পোষ্যদেরও সবাই নিজেদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। এলাকাবাসীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ঘরের জানালা দরজার সব বন্ধ রাখার।এই দুটি বহুতলের ১০০ মিটার উচ্চতার একটির নাম অ্যাপেক্স এবং ৯৭ মিটার উচ্চতার আরেকটি বহুতলের নাম সিয়ানে। এই দুই বহু তলকে ভাঙতে যৌথভাবে কাজ করেছে মুম্বাই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুটি সংস্থা। ভাবলে অবাক হবেন, এখানে প্রায় ৯০০ টির বেশি ফ্ল্যাট ছিল। এই টুইন টাওয়ারের সংলগ্ন এলাকায় বাস করছেন প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। যাদেরকে রবিবার সকাল ৯টার মধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল চারটের পর তাদেরকে আবার ওই এলাকায় ফিরিয়ে আনার কথা।এই টুইন টাওয়ার ভাঙতে ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ৩,৭০০ কেজির বিস্ফোরক পদার্থ। এই টাওয়ার ভাঙতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। মাত্র এইটুকু সময়ের মধ্যেই ধ্বংসাবশেষ জমেছে প্রায় ৫৫ হাজার টন। নয়ডার এই টুইন টাওয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ এসেছিল। যার কারণে সুপ্রিম কোর্ট এটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। ২০১৩ সালে যখন এই টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়, তখন প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। যার কারণে স্থানীয় এমারেল্ড কোর্ট সোসাইটির বাসিন্দারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।এই দুটি টাওয়ারের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়ে গিয়েছিল, যা সুদ সহ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই টাওয়ারটি ভেঙেছে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং। সাথে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের দল। এই টাওয়ার ভাঙার পর যদি কোন জরুরি অবস্থা তৈরি হয় তাই নিকটস্থ হাসপাতালে ৫০টি বেড বুক করে রাখা হয়েছিল। কারণ এর ফলে যে পরিমাণ ধুলো তৈরি হবে তার কারণে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এক্ষেত্র ওই এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এমনকি এই অঞ্চলের পরিবেশের দূষণের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।চোখের পলকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে টুইন টাওয়ার ভেঙে পড়তেই চারিদিকে সাদা ধোঁয়া এবং ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। যদিও নিরাপত্তা এবং পরিবেশ দূষণের কথা ভেবে আগে থেকেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। টাওয়ারটি ভেঙে পড়ার পরেই শুরু হয়ে যায় জল স্প্রে। টুইন টাওয়ারের চারিপাশের প্রায় ৫০০ বর্গমিটার এলাকাকে নিষিদ্ধ জোনে রূপান্তরিত করা হয়। যেখানে ওই মুহূর্তে কোন মানুষ, যানবাহন কিংবা প্রাণী যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া পাহারায় রয়েছেন প্রায় ৪০০ পুলিশ কর্মী। বিভিন্ন সড়কে বিধি নিষেধ এবং রুট পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ১৫০ থেকে ২০০ জন ট্রাফিক কর্মী আলাদাভাবে মোতায়েন করা রয়েছে। এমনকি যাত্রীরা যাতে রুট পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারেন, তাই আপডেট তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

আগস্ট ২৮, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal